শিরোনাম

কওমি উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে প্রতিদিন ১'শ মন আম আসবে ঢাকায়

 প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৫, ১০:০৮ অপরাহ্ন   |   জাতীয়

কওমি উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে প্রতিদিন ১'শ মন আম আসবে ঢাকায়

রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও সাতক্ষীরার বিখ্যাত আম এবার ঢাকাবাসীর দোরগোড়ায় পৌঁছাবে সরাসরি চাষিদের হাত থেকে। ডাক বিভাগের বিশ্বস্ত নেটওয়ার্ক এবং পরিবহন ও সেবা কাঠামো ব্যবহার করে কওমি তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্যোগে এ কর্মকাণ্ড শুরু হতে যাচ্ছে। যার মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় ৪০০০ কেজি আম ঢাকার গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার  আগারগাঁওয়ের ডাক ভবনে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ডাক বিভাগকে আমরা সংস্কারের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। এই সংস্কার কার্যক্রমের একটি অংশ হচ্ছে সাপ্লাই চেইনগুলোকে সচল করা। ডাক বিভাগের বিদ্যমান অবকাঠামোগুলোকে কাজে লাগিয়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা কীভাবে উপকৃত হতে পারে আমরা সেই চেষ্টা করছি। তিনি আরও বলেন, যেহেতু ডাক বিভাগ অত্যন্ত প্রাচীন একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান যাদের দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে শাখা রয়েছে। তাই আমরা মনে করি ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা ডাক বিভাগের বিদ্যমান সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে তাদের পণ্য সরাসরি ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে পারবে। অন্যথায় তাদের জন্য সাপ্লাই চেইন তৈরি করে ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছানোর এ কাজটি কঠিন হবে।

জানা গেছে, এ কার্যক্রমের নেতৃত্বে রয়েছেন কওমি উদ্যোক্তারা। যারা কওমি মাদ্রাসা শিক্ষিত তরুণদের জন্য তৈরি করা একটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে নিজেদের উদ্যোক্তা জীবনের যাত্রা শুরু করেছেন। ইসলামি আদর্শ ও নৈতিকতার আলোকে গড়ে ওঠা এই কমিউনিটির লক্ষ্য হালাল উপার্জনের মাধ্যমে আত্মনির্ভরতা অর্জন, প্রযুক্তি ও দক্ষতা শেখানো এবং একটি বিশ্বাসযোগ্য ও বরকতময় ব্যবসায়িক মানসিকতা গড়ে তোলা। বর্তমানে তাদের কমিউনিটিতে যুক্ত আছেন ৮০ হাজারের বেশি কওমি তরুণ উদ্যোক্তা, যারা ফ্রিল্যান্সিং, অনলাইন বিজনেস, ই-কমার্স, কৃষি ও উৎপাদন খাতে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়ছেন।

অন্যদিকে বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরোনো ও নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এ প্রকল্পের পরিবহন সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। ডাক বিভাগের বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে চাষিদের কাছ থেকে সংগৃহীত আম প্রতিদিন ঢাকার প্রতিটি প্রান্তে গ্রাহকদের ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়া হবে। যা ভোক্তাদের জন্য নিশ্চিত করবে এক অনন্য অভিজ্ঞতা। উদ্যোক্তারা আশা করছেন, প্রকল্পটি শুধু মৌসুমি কার্যক্রম নয়, বরং এটি একটি টেকসই কৃষিপণ্য বিপণন মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। যা আগামীতে অন্যান্য ফল, কৃষিপণ্য ও আঞ্চলিক উৎপাদনের ক্ষেত্রেও অনুকরণীয় উদাহরণ হতে পারে। তাদের প্রত্যাশা, উদ্যোগের আওতায় প্রতিদিন প্রায় ৪০০০ কেজি আম ঢাকায় পরিবহন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে ডাক বিভাগের বিশ্বস্ত লজিস্টিক নেটওয়ার্ক এর উপর আস্থা রেখে। এ উদ্যোগের মাধ্যমে সুলভে পরিবহন সুবিধা পাবেন উদ্যোক্তা ও চাষিরা।