শিরোনাম

ভিডিও

একমাত্র ছেলে হারিয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন ফায়ার ফাইটার নয়নের মা

 প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০২ অপরাহ্ন

একমাত্র ছেলে সোয়ানুর জামান নয়ন ছিলেন ফায়ার ফাইটার। এক মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানের মধ্যে নয়ন ছিল ছোট। ছেলেকে হারিয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন তার মা। সচিবালয়ের আগুন নেভাতে গিয়ে নিহত ফায়ার সার্ভিস কর্মী সোয়ানুর জামান নয়নের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। সন্তানের মৃত্যুর সংবাদ জানার পর থেকে কাঁদতে কাঁদতে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন তার মা নার্গিস বেগম। সন্তান অকাল প্রয়ানের ব্যথা সইতে না পেরে নিজের বুক চাপড়ে আহাজারি করছেন মা। নিহত নয়ন রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বড়বালা ইউনিয়নের ছড়ান আটপড়িয়া গ্রামের কৃষক আখতারুজ্জামানের ছেলে। তিনি দুই বছর আগে ফায়ার সার্ভিসে যোগদান করেন। নিহতের স্বজনরা বলছেন, নয়নই ছিল পরিবারের ভরসা। তাকে ঘিরেই স্বপ্ন দেখতেন তার মা,বাবা, বোন। হঠাৎ এমন মৃত্যুতে পুরো পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেল। এমন মৃত্যু তারা মেনে নিতে পারছেন না নিহতের স্বজনরা। আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে থাকা ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সড়কে বেরিকেড না দেয়ায় সেই সড়কে ট্রাক ঢুকে পড়ায় এমন অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঘটনা ঘটে বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা। রাত ৩টা ১৫ মিনিটের দিকে ঘাতক ট্রাকচালককে গণপূর্ত ভবনের সামনে থেকে আটক করা হয়। তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার রাজিব বলেন, আমরা গত রাতে একসঙ্গে খাবার খেয়েছি। একসঙ্গে ভলিবলও খেলেছি। সম্ভবত রাত ২টা ৪০ মিনিটে সাইরেন বেজে ওঠে। তাৎক্ষণিক ড্রাইভার ১০ জন সদস্য নিয়ে মিনিবাসে করে সচিবালয় পৌঁছায়। আমরা ১০ মিনিট পরে আসি। নয়ন পানির পাইপ কাঁধে নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিল। হঠাৎ একটি দ্রুতগতির ট্রাক পেছন থেকে তাকে ধাক্কা দিলে সে রাস্তায় পড়ে যান। পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত নয়নের মরদেহ রংপুরে তার দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তার স্বজনরা।

আরও পড়ুন :