শিরোনাম

অবসর, পদত্যাগ ও অবিশ্বাস্য ক্যাচ— চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আলোচিত ৫

 প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৫, ০২:৩৪ অপরাহ্ন   |   ক্রিকেট

অবসর, পদত্যাগ ও অবিশ্বাস্য ক্যাচ— চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আলোচিত ৫

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসরের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে রেকর্ড তৃতীয়বারের মত শিরোপা জিতেছে ভারত। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মঞ্চে ঘটে যাওয়া পাঁচটি উল্লেখ্যযোগ্য দিক তুলে ধরেছে বার্তা সংস্থা এএফপি। 

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে অস্ট্রেলিয়া সফরে ব্যাট হাতে ব্যর্থতার কারণে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে কোহলির অন্তর্ভুক্তি নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মঞ্চে সমালোচকদের চুপ করিয়ে দিয়েছেন তিনি। গ্রুপ পর্বে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি। ওই ম্যাচ ৬ উইকেটে জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ভারত। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালেও ভারতের ত্রাণকর্তা ছিলেন কোহলি। আগ্রাসী মনোভাব থেকে সরে এসে পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে এবং স্ট্রাইক রেট ধরে রেখে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলে ম্যাচ বের করে আনেন কোহলি। অস্ট্রেলিয়ার ছুঁড়ে দেওয়া ২৬৫ রানের টার্গেটে ৯৮ বলে ৮৪ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন তিনি। এই ইনিংসে মাত্র ৫টি চার মারেন কোহলি। ৫৬টি সিঙ্গেলস ও ৪টি ডাবলস নেন তিনি। কোহলির এমন ইনিংসকে প্রশংসায় ভাসান অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। তিনি বলেন, ‘রান তাড়ার ক্ষেত্রে বিশ্ব সেরা কোহলি।’

সেমিফাইনালে ভারতের কাছে হেরে যাওয়ার একদিন পর ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ইতি টানেন অস্ট্রেলিয়ার স্টিভেন স্মিথ। সেমিতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন স্মিথ। ২০১০ সালে ওয়ানডেতে অভিষেকের পর ১৭০ ম্যাচে ১২টি সেঞ্চুরি ও ৩৫টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৪৩.২৮ গড়ে ৫,৮০০ রান করেছেন স্মিথ। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানের তালিকায় ১২তম স্থানে আছেন তিনি। স্মিথের পর এবারের আসর থেকে অবসরের সম্ভাবনা ছিল ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মার। গুঞ্জন ছিল শিরোপা জিতলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন রোহিত। কিন্তু ফাইনাল শেষে অবসরের গুঞ্জনকে উড়িয়ে দেন রোহিত। ফাইনালে ওপেনার হিসেবে নেমে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন তিনি।

তিন দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো আইসিসি ক্রিকেট ইভেন্ট আয়োজন করে পাকিস্তান। সরকার থেকে অনুমতি না পাওয়ায় নিজেদের সব ম্যাচ দুবাইয়ে খেলে ভারত। তারপরও পাকিস্তানজুড়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে উত্তেজনা ছিল আকাশচুম্বী। কিন্তু ২২ গজে ব্যাট-বল হাতে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ড এবং ভারতের কাছে হেরে আগেভাগেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়ে স্বাগতিকরা। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বৃষ্টির কারণে ১ পয়েন্ট পাওয়ায় খালি হাতে ফিরতে হয়নি তাদের। তারপরও আট দলের টুর্নামেন্টে সপ্তম হতে হয়েছে পাকিস্তানকে। আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের নীচে থেকে আসর শেষ করে পাকিস্তান।

ফিল্ডার হিসেবে টুর্নামেন্টে আলো ছড়িয়েছেন নিউজিল্যান্ডের গ্লেন ফিলিপস। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে পাকিস্তানের অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানের দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়েছেন তিনি। এরপর গ্রুপ পর্বের আরেক ম্যাচে একইভাবে ভারতের কোহলির ক্যাচ নিয়েছেন তিনি। ফিলিপসের ক্যাচ দেখে হতবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলেন কোহলি। এই দুই ক্যাচ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফিলিপসকে ‘টুর্নামেন্টের সুপারম্যান’ বলে অভিহিত করা হয়। ধারাভাষ্যকারদের কন্ঠে ভেসে উঠে, এই যুগের জন্টি রোডস হলেন ফিলিপস।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে ভারতের কাছে তিন ম্যাচ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয় ইংল্যান্ড। গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই অ্যাশেজের প্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৫১ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় ইংলিশরা। তারপরও অসি ব্যাটারদের দৃঢ়তায় ৫ উইকেটে হেরে যায় ইংল্যান্ড। টুর্নামেন্টের শুরুটা ভালো না হলেও দ্বিতীয় ম্যাচ বড়সড় ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড। আফগানিস্তানের কাছে ৮ রানে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে ছিটকে পড়ে জস বাটলারের দল। আফগানিস্তানের কাছে হারের পর অধিনায়কত্ব থেকে সড়ে দাঁড়ান বাটলার। কারন বাটলারের নেতৃত্বে আইসিসি ইভেন্টে টানা তিনটি আসরেই ব্যর্থ হয় ইংল্যান্ড।

ক্রিকেট এর আরও খবর: