শিরোনাম

মুসাফির রোজা ভেঙে ফেললে কাজা-কাফফারা দুটোই করতে হবে?

 প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩৪ অপরাহ্ন   |   ধর্ম

মুসাফির রোজা ভেঙে ফেললে কাজা-কাফফারা দুটোই করতে হবে?

মুসাফিরের জন্য রোজা না রাখার বিধান রয়েছে। তবে কোনো মুসাফির যদি রমজানের রোজা রেখে দিনের বেলা ইচ্ছাকৃত তা ভেঙ্গে ফেলে তাহলে তার উপর কাজা ও কাফফারা উভয়টি ওয়াজিব হবে, নাকি কাজা করলেই যথেষ্ট হবে?

এ ক্ষেত্রে ইসলামী আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদদের মতামত হলো— মুসাফিরকে ওই রোজার কাজা করতে হবে। কাফফারা আদায় করতে হবে না। তবে বিনা ওজরে এভাবে রোজা ভেঙ্গে ফেলা অন্যায়। কেননা মুসাফিরের জন্য সফর অবস্থায় দিনের শুরু থেকেই রোজা না রাখার অনুমতি আছে। 

তাই কোনো মুসাফির রোজা না রাখার ইচ্ছা করলে রোজা না রাখা অবস্থায় দিন শুরু করবে। কিন্তু যদি এই ছাড়ের উপর আমল না করে রোজা শুরু করে দেয় তবে বিনা ওজরে তার জন্য তা ভঙ্গ করা জায়েজ নয়; বরং ওই রোজা পুরো করা তার উপর জরুরি হয়ে যায়। এতদসত্ত্বেও কেউ যদি এ রোজা ভেঙ্গে ফেলে তবে এর কারণে তার উপর কাফফারা ওয়াজিব হবে না। পরবর্তীতে শুধু কাজা করে নিলেই চলবে।(মুসনাদে আবু হানীফা ১০৯-১১০)

প্রসঙ্গত, প্রাপ্ত বয়স্ক সবার ওপর রমজানের রোজা ফরজ। মুসলিম উম্মাহর ঐকমত্যে কেউ রমজানের ভাঙলে সে বড় গুনাহগার হবে। একটি রোজার বিনিময়ে টানা দুই মাস রোজা রাখলেও ওই একটি রোজার সমকক্ষ হবে না কিছুতেই। তবে কিছু কিছু মানুষকে আল্লাহ রমজানের রোজা রাখা ও না রাখার ক্ষেত্রে অবকাশ দিয়েছেন। আমরা ধারাবাহিকভাবে সেগুলো পাঠকদের জন্য উল্লেখ করেছি। এই লেখায় আলোচনা করা হবে মুসাফিরের রোজার সংক্ষিপ্ত কিছু মাসআলা।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৫)

 শরয়ি সফর করে থাকলে (অর্থাৎ ৪৮ মাইল তথা ৭৭ কিলোমিটার ভ্রমণ করেছেন যিনি), তার জন্য রোজা না রাখার অনুমতি রয়েছে। তবে মুসাফিরের জন্য উত্তম হচ্ছে, যদি কষ্ট কম হয়— তাহলে রোজা পালন করা। (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৪; আল-হিদায়া : ১/২২১; জাওয়াহিরুল ফাতাওয়া : ১/২০)