শিরোনাম

রমজানে মহানবী (সা.) বেশি দান করতেন যে কারণে

 প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০১:৪২ অপরাহ্ন   |   ধর্ম

রমজানে মহানবী (সা.) বেশি দান করতেন যে কারণে

রাসূল সা. সব সময় দান করতেন। তবে রমজান মাসে তার দানের পরিমাণ বেড়ে যেতো। রমজানে রাসূল সা.-এর দান সম্পর্কে হাদিস শরীফে বর্ণিত হয়েছে—

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন মানুষের মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ দাতা। রমজানে তার দানশীলতা (অন্য সময় থেকে) অধিকতর বৃদ্ধি পেত; যখন জিবরাঈল (আ.) তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন। জিবরাঈল (আ.) রমজানের প্রতি রাতে আগমন করতেন এবং তারা পরস্পরকে কোরআন শোনাতেন। আল্লাহর রাসুল (সা.) তখন কল্যাণবাহী বায়ুর চেয়ে অধিক দানশীল ছিলেন।’ (বুখারি, হাদিস : ০৬; মুসলিম, হাদিস : ২৩০৮; মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ২৬১৬)।

রমজানের সংস্পর্শের কারণে তিনি এই মাসে বেশি বেশি দান দান করতেন। কারণ, এই বরকতময় মাস নেক আমলের সওয়াব বৃদ্ধি করে, মান-মর্যাদা উন্নীত করে, বান্দাকে আল্লাহ তায়ালার নিকটবর্তী করে নেক আমলের মাধ্যমে।

রমজান মাসে রাসূল সা. বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত করতেন। কোরআনের এমন অনেক আয়াত আছে যেখানে আল্লাহর রাস্তায় দান করার প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। দুনিয়ার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। মানুষকে আখিরাতমুখী হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব আয়াত তিলাওয়াত করলে আল্লাহর রাস্তায় দান-সদকার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। কোরআনের এসব আয়াত তিলাওয়াতের মাধ্যমে রাসূল সা. আল্লাহর রাস্তায় বেশি বেশি দানের প্রতি উদ্বুদ্ধ হতেন।

রমজানের প্রতি রাতে জিবরাঈল আ.-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ হতো মহানবী সা.-এর। এই সাক্ষাৎ ছিল সৎ ব্যক্তির সঙ্গে উঠাবসার মতো।  আর সৎ ব্যক্তির সঙ্গে উঠাবসা আল্লাহর প্রতি ঈমান বৃদ্ধি করে এবং আনুগত্যের প্রতি আগ্রহী করে তোলে। এই সাক্ষাতের সংস্পর্শও রাসূল সা.-কে বেশি বেশি দান-সদকা করতে উদ্বুদ্ধ করতো।