শিরোনাম

পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের আহ্বান মহিলা পরিষদের

 প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৪:৪৪ অপরাহ্ন   |   জাতীয়

পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের আহ্বান মহিলা পরিষদের

সংঘবদ্ধ নারীবিরোধী তৎপরতা, নারীকে হেনস্তা, নারী বিদ্বেষ এবং মব সন্ত্রাসের মাধ্যমে নারীর প্রতি সহিংসতা নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। শত শত নারী-শিশু প্রতিদিন অত্যাচারিত হচ্ছে। নারীর পোশাক নয়, পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি ধর্ষণের অন্যতম কারণ উল্লেখ করে পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন প্রয়োজন বলে জানিয়েছে মহিলা পরিষদ ঢাকা মহানগর শাখা। আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘দেশব্যাপী অব্যাহতভাবে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন’ কর্মসূচিতে বক্তারা এ সব কথা বলেন। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ঢাকা মহানগর শাখা এই মানববন্ধন কর্মসূচি আয়োজন করে।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন—বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ঢাকা মহানগর কমিটির সদস্য হেনা চৌধুরী। তিনি বলেন, নারীরা কর্মসূত্রে বিদেশে গিয়েও নিরাপত্তাহীন অবস্থায় আছে। সেখানেও তারা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের কারণে কোনো নারীর মৃত্যু হলে এটাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে- যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ডা. মাখদুমা নার্গিস রত্না বলেন, বর্তমানে নারী নির্যাতন মহামারির আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশে শত শত আছিয়া প্রতিদিন অত্যাচারিত হচ্ছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশকে নারীর জন্য নিরাপদ হিসেবে গড়ে তুলতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

লিগ্যাল অ্যাডভোকেসি ও লবি পরিচালক অ্যাডভোকেট দীপ্তি শিকদার বলেন, আজ অন্য পরিবারের কেউ ধর্ষণের শিকার হচ্ছে, কাল যে নিজ পরিবারের কেউ এই ঘটনার সম্মুখীন হবে না, এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। পরিবার, জনপরিসরে কোথাও আজ নারীর নিরাপত্তা নেই। নারী নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হলেও মামলাগুলোর বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিতে ভুক্তভোগী, তার পরিবার এবং সাক্ষীদাতার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

কেন্দ্রীয় অ্যাডভোকেসি এবং নেটওয়ার্কিং পরিচালক জনা গোস্বামী বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসে সারা দেশে ১৮৯ জন নারী নির্যাতনে শিকার হয়েছে। তার মধ্যে ৪৮ জনই ধর্ষণের শিকার। ঢাকা মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক কানিজ ফাতেমা বলেন, নারীদের নানা রকম কথা শুনতে হয়- পোশাক ঠিক নাই, চলাফেরা ঠিক নাই। কিন্তু আমরা দেখলাম, হিজাব পরা তনুকে ধর্ষণের শিকার হতে হলো। মাগুরার শিশুটি যে কি না নারীই হয়ে ওঠেনি, তাকেও মরতে হলো। নারীর প্রতি নিপীড়ন বন্ধে সবাইকে একসঙ্গে সোচ্চার হতে হবে। পর্ণ সাইট ও মাদক বন্ধ করতে হবে।

জাতীয় এর আরও খবর: