শিরোনাম

৩৭ লাখ টাকাসহ ধরা পড়া সেই এলজিইডি প্রকৌশলী সাময়িক বরখাস্ত

 প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০১:১৫ অপরাহ্ন   |   জাতীয়

৩৭ লাখ টাকাসহ ধরা পড়া সেই এলজিইডি প্রকৌশলী সাময়িক বরখাস্ত

গাড়িতে ৩৭ লাখ টাকাসহ ধরা পড়া গাইবান্ধার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ছাবিউল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. নিজাম উদ্দিনের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। গতকাল রাতে গাইবান্ধা এলজিইডি কার্যালয় থেকে প্রজ্ঞাপনের বিষয়টি জানা যায়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া গাড়িতে অবৈধ অর্থ বহন এবং তা যৌথ বাহিনী কর্তৃক জব্দ করার বিষয়টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ছাবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি খোরপোশ ভাতা পাবেন। সাময়িক বরখাস্তের বিষয়ে জানতে গতকাল রাতে ছাবিউল ইসলামের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।

উল্লেখ্য, যৌথ বাহিনীর সদস্যরা গত বৃহস্পতিবার রাতে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কে যানবাহনে তল্লাশি করছিলেন। রাত ২টার দিকে বগুড়া থেকে নাটোর অভিমুখে একটি ব্যক্তিগত গাড়ি থামিয়ে তল্লাশির সময় গাড়ির পেছনের ডিকিতে বিপুল পরিমাণ টাকা দেখতে পান তাঁরা। এ সময় গাড়িতে থাকা আরোহী ছাবিউল ইসলাম নিজেকে গাইবান্ধার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী পরিচয় দেন। পরে তাঁকে ও গাড়ির চালককে সিংড়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা তলব করা মাত্র হাজির হবেন এমন শর্তে শুক্রবার সন্ধ্যায় মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান ছাবিউল ইসলাম। এ সময় তিনি ওই টাকা তাঁর জমি বিক্রির বলে দাবি করেন। তবে এর কোনো প্রমাণ দিতে না পারায় পুলিশ ওই টাকা ও টাকা বহনকারী গাড়িটি জব্দ করে। টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন নাটোরের সিংড়া আমলি আদালত।

গাইবান্ধা এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ২১ ডিসেম্বর সাঘাটা উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে জেলায় এসেছিলেন ছাবিউল ইসলাম। সবশেষ তিনি গাইবান্ধা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে ছিলেন। ২১ বছর ধরে তিনি গাইবান্ধা জেলাতেই কর্মরত। মাঝখানে তাঁকে বরিশালে বদলি করা হলেও ২৩ দিনের মাথায় আবারও গাইবান্ধায় চলে আসেন। সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী, একজন সরকারি কর্মকর্তা একই কর্মস্থলে টানা তিন বছরের বেশি থাকার কথা নয়।

জাতীয় এর আরও খবর: