শিরোনাম

যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থায় ফিরলেন শফিক

 প্রকাশ: ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৫১ অপরাহ্ন   |   মিডিয়া কর্নার

যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থায় ফিরলেন শফিক

যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও শফিকুজ্জামান ছিল সমার্থক শব্দ। সেই শফিকুজ্জামান এক যুগের বেশি সময় যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে ছিলেন না। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটিতে বর্ষীয়ান ও পরীক্ষিত সংগঠককে সদস্য হিসেবে মনোনীত করেছে। স্বাধীনতার পর থেকে যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে জড়িত মোহাম্মদ শফিকুজ্জামান। জেলা দলের হয়ে খেলেছেন। ফুটবলার হিসেবে অবসর নেয়ার পর সংগঠক হন। প্রথমে সদস্য হিসেবে শুরু এরপর সাধারণ সম্পাদকও হয়েছিলেন। ১৭ বছর তিনি জেলা ক্রীড়া সংস্থায় সাধারণ সম্পাদকের পদে ছিলেন।

তার মেয়াদকালকেই যশোরের ক্রীড়াঙ্গনে স্বর্ণযুগ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। যশোর জেলা স্টেডিয়ামের মাঠ সব সময় খেলায় মুখরিত থাকত এবং যশোর থেকে জাতীয় পর্যায়ে অনেক খেলোয়াড় এসেছে। শফিকুজ্জামান বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাহী সদস্য ছিলেন ২ মেয়াদে। খেলোয়াড়ের চেয়ে শফিকের সংগঠক পরিচয় বড় হলেও ফুটবলার হিসেবে রয়েছে তাঁর বিশেষ কীর্তি। আবাহনী-মোহামেডানের বাইরে সত্তর আশির দশকে বিজেএমসি একমাত্র ঢাকা ফুটবল লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ১৯৭৯ সালে বিজেএমসি চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক ছিলেন শফিক।  শফিকুজ্জামানের পরিবার ক্রীড়া ও সংস্কৃতিমনা। তাঁর ছেলে আশিকুজ্জামান সাবেক জাতীয় হকি খেলোয়াড় ও কোচ। ছোট ভাই তারিকউজ্জামান সাবেক হকি খেলোয়াড় ও সংগঠক। তাঁর সবার বড় ভাই প্রয়াত মনিরুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রখ্যাত অধ্যাপক।

আরেক ভাই দেশের কিংবদন্তি গীতিকার রফিকুজ্জামান। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর আরেক ভাই আসাদ শহীদ হয়েছেন। ছেলের জন্য মা রেললাইনের ধারে বসে থাকতেন। মা ও ভাইকে নিয়ে রফিকুজ্জামানের কালজয়ী গান, ‘খোকা ফিরবে’। সেই ভাইয়ের স্মরণে আসাদ স্মৃতি ক্লাব যশোরের ফুটবল, ক্রিকেট লিগে অংশ নেয়। যে ক্লাবের হয়ে দেশি, বিদেশি অনেক তারকা ক্রিকেটার খেলেছেন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আজ যশোর, লালমনিরহাট, পঞ্চগড় ও পিরোজপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। এর আগে ১৯ জানুয়ারি নয়টি জেলা ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় সংস্থার কমিটি প্রকাশ করে এনএসসি। 

মিডিয়া কর্নার এর আরও খবর: