আইনজীবী আলিফ হত্যা: আসামিদের জবানবন্দিতে আরও দুজনের নাম

চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামির জবানবন্দিতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও দুই ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে। তাঁরা হলেন শিবা ও ওমবাই। এজাহারনামীয় আসামিদের বাইরে তাঁদের নাম পাওয়া গেছে। নতুন দুই ব্যক্তির বিস্তারিত পরিচয় পেতে জবানবন্দি দেওয়া দুই আসামিকে জেলগেটে এক দিন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার চট্টগ্রামের চতুর্থ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মোস্তফা এই আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি জোন) মো. মাহফুজুর রহমান আবেদনে উল্লেখ করেন, আলিফ খুনের মামলায় ৯ ডিসেম্বর আসামি চন্দন দাশ আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে শিবা ও আরেক আসামি রাজীব ভট্টাচার্য্য ওমবাইয়ের নাম জানিয়েছেন। মামলার তদন্তের স্বার্থে শিবা ও ওমবাই নামের এই দুই ব্যক্তির পূর্ণ নাম-ঠিকানা জানার জন্য চন্দন ও রাজীবকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, আজ পুলিশের ওই আবেদনের শুনানি শেষে আদালত দুই আসামিকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক দিনের অনুমতি দিয়েছেন। শুনানির সময় আসামি চন্দন ও রাজীব আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এ সময় আসামিকে প্রিজন ভ্যানে করে কারাগারে নেওয়ার সময় তাঁর অনুসারীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষ চলাকালে আইনজীবী আলিফকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি স্থাপনা। এই সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ছয়টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে আলিফ হত্যার ঘটনায় ২৯ নভেম্বর রাতে নগরের কোতোয়ালি থানায় ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন তাঁর স্বজন জামাল উদ্দিন।
সহকারী সরকারি কৌঁসুলি রায়হানুল জানান, আলিফ হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ২১ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা যায়, আসামিদের বেশির ভাগ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) পরিচ্ছন্নতাকর্মী। তাঁরা নগরের কোতোয়ালি থানার বান্ডেল রোডের মেথরপট্টি সেবক কলোনি এলাকার বাসিন্দা।