পি কে হালদারের তিন সহযোগীর ২১ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ

এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের তিন সহযোগীর নামে থাকা ২১টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন- মো. সিদ্দিকুর রহমান, মাহফুজা রহমান বেবী ও অনিতা কর।
রোববার (১৬ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। এসব হিসাবের মধ্যে মো. সিদ্দিকুর রহমানের নামে ১১টি, মাহফুজা রহমান বেবীর নামে চারটি ও অনিতা করের নামে ৬টি ব্যাংক হিসাব রয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুদকের পক্ষে কমিশনের উপ-সহকারী পরিচালক সাবরিনা জামান ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, পি কে হালদার এবং তার সহযোগী স্বপন কুমার মিস্ত্রিসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক প্রতারণার মাধ্যমে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করে ঋণ আবেদন যাচাই বাছাই ছাড়াই কোনো মর্টগেজ গ্রহণ ব্যতীত এবং ঋণগ্রহীতা কাগুজে প্রতিষ্ঠান স্বন্দীপ কর্পোরেশনের প্রোপাইটর স্বপন কুমার মিস্ত্রিকে ভুয়া ঋণ পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেন। বেনিফিশিয়ারিরা এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লি. থেকে ৪০ কোটি টাকা উত্তোলন করেন এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে ভুয়া কোম্পানি ও বিভিন্ন ব্যক্তির হিসাবে এসব অর্থ স্থানান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন করে পাচার করে মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উদঘাটিত হয়েছে।
এ কারণে প্রশান্ত কুমার হালদার এবং স্বপন কুমার মিস্ত্রিসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ৩ মার্চ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এমতাবস্থায় আসামি এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লি. সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান, আসামি মাহফুজা রহমান বেবী এবং আসামি মিস অনিতা কর কর্তৃক কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাতপূর্বক অর্থ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর, বন্ধক বা বেহাত করার প্রচেষ্টা করছেন। পি কে হালদার এরইমধ্যে ভারতে আটক রয়েছেন মর্মে জানা যায়। তার সহযোগীরা দেশে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে এসব অর্থ উত্তোলন করার চেষ্টা করছেন মর্মে গোপন সূত্রে জানা যায়। এসব অর্থ উত্তোলন করতে পারলে তারা গোপনে দেশত্যাগ করতে পারেন।