স্বাভাবিক চিকিৎসা কার্যক্রমে ফিরেছে নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) নেতাকে হাসপাতালে পদায়ন, চিকিৎসকদের ওপর চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের হামলা ও পরিচালকের পদত্যাগের দাবিতে চলা চারদিনের আন্দোলন ও কর্মবিরতির পর স্বাভাবিক রূপে ফিরেছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস (নিন্স)। এদিকে হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও অপারেশন থিয়েটারগুলো পুনরায় সম্পূর্ণভাবে চালু হয়েছে। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জরুরি ও বহির্বিভাগের সেবা চালু থাকার পাশাপাশি নিয়মিত অস্ত্রোপচারও শুরু হয়েছে বলে ঢাকা মেইলকে জানিয়েছেন হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. হুমায়ুন কবির হিমু।
ডা. হুমায়ুন বলেন, টানা চারদিনের আন্দোলনের পর আজ সকাল থেকে হাসপাতালের ছয়টি অপারেশন থিয়েটার এবং একটি ক্যাথ ল্যাবে ডাক্তাররা অস্ত্রোপচার শুরু করেছেন। কোথাও সমস্যা নেই। অন্তঃবিভাগ ও বহির্বিভাগের কার্যক্রম খোলা রয়েছে। কোনো কর্মবিরতি নেই এবং স্থগিত হওয়া নিয়মিত অস্ত্রোপচারগুলো এখন করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য উপদেষ্টার নূরজাহান বেগমের নির্দেশনার আলোকে হাসপাতালের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যেই চিকিৎসকরা কাজ করছেন বলে জানান তিনি। তবে এদিনেও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। জানা যায়, একটি স্বার্থান্বেষী মহল হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ও বহিরাগতদের নিয়ে সকালে পরিবেশ অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা চালায়। তবে পুলিশের তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করে শেরেবাংলা নগর থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।
এর আগে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) নেতা অধ্যাপক ডা. গুরুদাস মন্ডলকে চার মাসে আগে পাবনা মেডিকেল কলেজে বদলি করা হয়। সম্প্রতি তাকে নিউরোসায়েন্সে ফিরিয়ে আনার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১২ ফেব্রুয়ারি উত্তপ্ত হয়ে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি। এক পর্যায়ে চিকিৎসকদের ওপর হামলা করে হাসপাতালটির চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ও আউটসোর্সিংয়ের কর্মীরা। এতে তিন চিকিৎসকসহ ১০ জন আহত হন। হামলাকারীরা নিন্স পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদের অনুসারী বলে দাবি করা হয়।
এ ঘটনায় কাজী দীন মোহাম্মদসহ প্রতিষ্ঠানটির যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. বদরুল আলমের পদত্যাগের দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেন চিকিৎসকরা। প্রাথমিকভাবে জরুরি ও বহির্বিভাগের সেবা চালু থাকলেও হাসপাতালটির নিয়মিত অস্ত্রোপচার বন্ধ হয়ে যায়।