মার্কিন সহায়তা বন্ধে বাড়ছে ‘চীনের প্রভাব’

এহছান খান পাঠান :
ট্রাম্পের অভিযোগ হচ্ছে ইউএসএআইডির মাধ্যমে অর্থের অপচয় হচ্ছে৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উন্নয়ন সহায়তা বন্ধ করে দেয়ার এই সিদ্ধান্তের চেয়ে ভালো কিছু চীনের জন্য হতে পারে না৷ বেইজিং তার বিক্রির বাজার নিরাপদ করতে, তার উপর নির্ভরশীলতা তৈরি করতে এবং নানা দেশকে সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় নিজের পক্ষে সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করছে৷ এর ফলে চীনের অবস্থান আরো শক্তিশালী হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের উপর আস্থা ক্ষয়ে যাবে৷ ট্রাম্পবিরোধী মার্কিন রাজনীতিবিদরা ইতোমধ্যে অভিযোগ করেছেন যে ক্ষুধা, রোগবালাই আর সংঘাতের বিপরীতে লড়াইকে ঝুঁকিতে ফেলেছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্ত৷ তারা মনে করেন , এটা দানের বিষয় না৷ বরং৷ চীনের অর্থ এবং অর্থনীতি বিষয়ক প্রভাবের বিপরীতে লড়াইয়ে ইউএসএআইডি আমাদের সেরা অস্ত্র৷ এর ফলে বিশ্বে চীনের প্রভাব বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকে।
বিশ্বের মধ্যে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতায় দুই পরাশক্তি আমেরিকা ও চীন উন্নয়ন সহায়তা ব্যবহার করে৷ যদিও চীন কী পরিমাণ অর্থ বিভিন্ন দেশকে সহায়তা হিসেবে দেয়, তা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে না৷ আমেরিকা ও চীন এর বৈরিতা ইন্দো-প্যাসিফিকে বেশ স্পষ্ট৷ যেমন, বাংলাদেশ৷ চীনের কাছে কৌশলগতভাবে দেশটি গুরুত্বপূর্ণ৷ ১৭ কোটির বেশি মানুষের দেশটি চীনা পণ্যেরও বড় বাজার৷ যদিও ইউএসএআইডি মূলত স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে কাজ করে, ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত চায়না এইড মূলত ঋণ এবং বড় অবকাঠামোগত প্রকল্পে মনোযোগ দেয়৷ ‘বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই)’-এর আওতায় চীন বর্তমানে ১৪৫টিরও বেশি রাষ্ট্রকে সেতু, মহাসড়ক এবং বন্দর নির্মাণের মতো যৌথ প্রকল্পের মাধ্যমে সংযুক্ত করতে চাচ্ছে৷ তবে দুই সংস্থারই উদ্দেশ্য একই৷ তাহচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ পার্টনার রাষ্ট্রগুলোতে তাদের সরকারের প্রভাব নিশ্চিত করা৷