চিকিৎসক অপহরণের ঘটনায় মামলা, কারণ যা জানালো পুলিশ

রাজশাহীতে এক নারী চিকিৎসককে বাসা থেকে অপহরণের একদিন পেরিয়ে গেলেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। তবে পথে ফেলে যাওয়া তার বাবাকে উদ্ধার করে রাজশাহীতে আনা হয়েছে। এই ঘটনায় ৪ জনের নামে মামলা করেছেন তার বাবা। পুলিশ বলছে, প্রেমের সম্পর্কের জেরেই এই অপহরণ। তারা উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। শনাক্ত করতে পেরেছেন অপহরণ কাজে ব্যবহৃত গাড়িটি। এর আগে সোমবার ভোরে নারী চিকিৎসকের সঙ্গে তার বাবাকেও জোর করে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় একটি চক্র। পথে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানা এলাকায় তার বাবাকে ফেলে যান অপহরণকারীরা। পরে থানা পুলিশ তাকে স্বজনদের হাতে হস্তান্তর করে।

অপহৃত চিকিৎসক (২৬) রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ থেকে ডেন্টাল বিডিএস শেষ করেছেন। তার বাবা পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। সোমবার ভোরে চন্দ্রিমা এলাকার বাসা থেকে বাবা-মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় তার মাকেও আহত করে রেখে যায় অপহরণকারীরা। তিনি এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, এই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। ঘটনাস্থলে জোনাল ডিসি গিয়েছিলেন। ওই চিকিৎসকের বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। পুলিশের দিক থেকে ওই চিকিৎসককে উদ্ধারের সব ধরনের তৎপরতা চালানো হচ্ছে। পুলিশ অপহরণের কাজে ব্যবহৃত গাড়িটি নম্বরসহ শনাক্ত করতে পেরেছে। এই নম্বর বিভিন্ন থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। গাড়িটি ধরার বিষয়ে চেষ্টা চলছে।

কী কারণে অপহরণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিক তদন্তে যতটুকু পাচ্ছি, ওই নারী চিকিৎসকের সঙ্গে অপহরণকারীর সম্পর্ক ছিল। অপহরণকারী একজন ফ্রড টাইপের লোক। ভুয়া পরিচয় দিয়ে সম্পর্ক গড়তেন। পরবর্তীতে বুঝতে পারায় সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসতে চাইলে এই ঘটনা ঘটান। তিনি আরও বলেন, রাতে তার বাবা মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলায় অপহরণের মূলহোতা তানভীর খান তাজ রওশন আলমের নাম উল্লেখ করে আরও ৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।