"কুয়েটের ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই"—জাবি শিক্ষার্থীদের স্লোগান

নিশান খান
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। আজ মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যা ৭ টা সময় মিছিলটি বটতলা থেকে শুরু করে শহিদ মিনার হয়ে বটতলায় শেষ হয়। এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীয়া স্লোগান দেন : কুয়েটের ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই; লীগ গেছে পথে, দল গেছে সেই পথে; সন্ত্রাসীদের আস্তানা, ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও; টেম্পু না শিক্ষা, শিক্ষা শিক্ষা; সন্ত্রাস না শিক্ষা, শিক্ষা শিক্ষা; আমার ভাই আহত কেন,
ইনটেরিম জবাব দে; ছাত্রদল হামলা করে,
ইনটেরিম কি করে; সন্ত্রাস করে দুই দল,
লীগ আর ছাত্রদল।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে বটতলায় একটি বিক্ষোভ সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা। এসময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী তৌহিদ সিয়াম বলেন, একদল ক্ষমতায় না গিয়েও একদল যে ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেছে, তাতে বোঝা যায় ক্ষমতায় গেলে তারা কি করতে পারে। চব্বিশে দুই হাজার শিক্ষার্থীর জীবন, রক্ত আর পঙ্গুত্বের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি সেই বাংলাদেশে আবার কেউ এসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করবে, তাদের কোপাবে এইগুলা দেখার জন্য না। আমরা পৃথীবীর অন্যতম শক্তিশালী স্বৈরশাসককে ছত্রিশ দিনে বিতাড়িত করেছি, এই ছাত্রদল বিএনপির সন্ত্রাসীদেরকে বিতাড়িত করতে ছত্রিশ মিনিটও সময় নিবেনা ছাত্রসমাজ। আপনারা গণমানুষের রাজনীতি করুন, ছাত্রসমাজের পাশে থাকেন অন্যথায় আমরা আপনাদেরকে চব্বিশের রাজাকার বলে চিহ্নিত করবো।
আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, কুয়েটে যখন আমার ভাইদের রক্তাত্ত ছবি দেখি, তখন আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরন হয়। একটি ক্ষমতালোভী দল তাদের পেশিশক্তির রাজনীতি করার জন্য শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠ পরিবেশ নষ্ট করে আজকে তাদের ক্ষমতা চর্চার প্রথম ধাপ তারা মানুষের নীকট উপস্থাপন করেছে। আপনাদেরকে বলতে চাই, আপনারা যদি আপনাদের এই ঘৃনিত কর্মকাণ্ড চালু রাখেন তাহলে আপনাদেরকেও লীগের মত বিতাড়িত করতে আমরা বিন্দুমাত্র সময় নিবোনা। আজ শিক্ষার্থীরা সন্ত্রাসী হামলায় আহত হলেও একটি মহল নিশ্চুপ, আজ তাদের চেতনায় আঘাত লাগেনি, সেই বিশেষ মহলকে পক্ষপাতিত্বের রাজনীতি থেকে ফিরে আসার আহ্বান করবো।যেখানেই অন্যায় হবে সেখানেই আমাদের প্রতিবাদ অব্যহত থাকবে। আমরা হুশিয়ারি করে বলে দিতে চাই, যদি ছাত্রদল কর্তৃক আর একজন ছাত্র বা শিক্ষকের রক্ত ঝরে, আপনাদের পরিণতি লীগের চেয়ে খারাপ হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আহ্বান করবো আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।