শিরোনাম

জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শেষ হবে

 প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:৪৬ অপরাহ্ন   |   ক্যাম্পাস

জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শেষ হবে

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের প্রথম ফেজের কাজ নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শেষ হবে বলে মন্তব্য করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম। তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জোরালো তৎপর রয়েছে। তবুও আমাদের সিদ্ধান্তগুলো সবসময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সেনাবাহিনী, বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্র নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে হবে। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপাচার্যের সভাকক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসন ও হল নির্মাণ বিষয়ে এক আলোচনা সভায় ড. রেজাউল করিম এসব কথা বলেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সেনাবাহিনীর পিডি, বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্র নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। সভায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের প্রথম ফেজের কাজের অগ্রগতি, বাধা ও পরবর্তী বিষয়ের কার্যাবলি নিয়ে আলোচনা করেন আলোচকরা। এসময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণীভবন ও হাবিবুর রহমান হলের জায়গায় অস্থায়ী আবাসনের পরিবর্তে স্থায়ী আবাসন নির্মাণের দাবি জানান।

সভায় সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইফতেখার বলেন, কয়েকবার আমরা জায়গাগুলো পর্যবেক্ষণ করেছি। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। কিন্তু স্থানীয়পর্যায় থেকে কিছু আপত্তি আসছে। সেগুলো বিশ্লেষণ করে সামনের দিকে কাজ ধাবমান হবে। স্থানীয়দের বিভিন্ন রকম মতামত আছে। তবে আমরা আশাবাদী ২০২৬ এর মধ্যেই আমরা প্রথম ফেজের কাজ শেষ করতে পারব। দুইটি স্টিল স্ট্রাকচার বিল্ডিংয়ের মাধ্যমে আমরা কাজ করতে পারি। এছাড়া স্থায়ী আবাসনের জন্য আমাদের কিছু বাধা রয়েছে।  এসময় লোকাল কমিউনিটির সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের প্রস্তাব রাখেন জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল। তিনি বলেন, আমরা ছাত্র প্রতিনিধিরা সবাই একত্র হয়ে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করতে পারি। আমরা আশা রাখি তাদের সঙ্গে কথা বললে তারা বুঝবে। আমরা তাদের বোঝাতে সক্ষম হবো। সার্বিক অবস্থা জানিয়ে শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেন, আমরা সব কিছুই প্রকাশ্যে করতে চাই। পঞ্চায়েতের সঙ্গে কথা বললে সমাধান হবে বলে আশা করি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব স্বতন্ত্র আছে। এটাই আমাদের মূল ক্যাম্পাস আর কেরানীগঞ্জ আমাদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস হবে। শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আসাদুল ইসলাম বলেন, শুধু ছাত্রীদের জন্য নয়। ছাত্রদের জন্যেও হল প্রয়োজন। তিনি বলেন, স্টিল স্ট্রাকচার না করে যদি আমরা কংক্রিট করি তাহলে এটাই বেটার হবে। এ ক্যাম্পাস আমাদেরই থাকবে। সুতরাং আমাদের এখানে স্থায়ী হলও প্রয়োজন। শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব সামসুর আরেফিন বলেন, আমাদের মূল ক্যাম্পাসকে কেন্দ্র করেই আমাদের পরবর্তী কার্যক্রম গড়ে তুলতে হবে। 

সংস্কার কমিটি সদস্য নওশিন নাওয়ার জয়া বলেন, আমাদের ছাত্রীদের জন্য একটা হল আছে। সুতরাং ছেলেদের হলটা বেশি প্রয়োজন। 

শিক্ষার্থীদের এসব দাবির প্রেক্ষিতে ঢাকার এডিসি পারভেজ বলেন, আমরা চেষ্টা করছি আইনগত কাঠামোর মধ্যে কীভাবে ফ্যাসিলিটেট করা যায়। আইনগতভাবে অস্থায়ী বা সস্থায়ী কাঠামো করার সুযোগ নাই। স্ট্রাকচারের বিষয়টা আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে। লোকাল কমিউনিটিকে রেসপেক্ট নানকরলে সাসটেইনেবল হয় না। ছাত্রী হলের বিষয়টা বিবেচনা করা যেতে পারে। আমরা ওটা ওভাবেই করতে পারি। 

এদিন আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমিন, শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. বেলাল হোসেন, নাসির আহমেদ, প্রক্টর, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক, হল প্রোভোস্ট সহ রাজনৈতিক সব প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ক্যাম্পাস এর আরও খবর: