জুয়াসের আয়োজনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ম্যারাথন অনুষ্ঠিত

নিশান খান
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অনুষ্ঠিত হলো ১০ কিলোমিটার ও হাফ ম্যারাথন (২১.১ কিমি), যা আয়োজন করেছে জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি অ্যাডভেঞ্চার সোসাইটি (জুয়াস)। শুক্রবার ভোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে হাফ ম্যারাথন শুরু হয়, আর ১০ কিমি ম্যারাথন শুরু হয় কিছুক্ষণ পর। প্রায় ৫০০ প্রতিযোগী এই দৌড়ে অংশ নেন। দৌড়বিদদের গতিবিধি রেকর্ডের জন্য এবার প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক চিপ ব্যবহার করা হয়।
ম্যারাথনে ১০ কি:মি: পুরুষ ক্যাটাগরিতে সবচেয়ে কম সময় ৩৯ মিনিট ৩৯সেকেন্ডে শেষ করে প্রথম হয়েছেন পলাশ শেখ৷ ধারাবাহিকভাবে ৪১ মিনিট ১০সেকেন্ডে শেষ করে দ্বিতীয় হয়েছেন ইমন হোসেন এবং ৪১ মিনিট ৩৯সেকেন্ডে শেষ করে তৃতীয় হয়েছেন মো. ওলিউল্লাহ৷ ম্যারাথনে ১০ কি:মি: নারী ক্যাটাগরিতে সবচেয়ে কম সময় ১ ঘন্টা ১মিনিট ২২সেকেন্ডে ম্যারাথন শেষ করে প্রথম হয়েছেন হামিদা আক্তার জেবা৷ ধারাবাহিকভাবে ১ ঘন্টা ৮মিনিট ৫১সেকেন্ডে শেষ করে দ্বিতীয় হয়েছেন শ্যামলী দাস এবং ১ ঘন্টা ১০মিনিট ১সেকেন্ডে শেষ করে তৃতীয় হয়েছেন ইয়ো ইয়োসেং৷
অন্যদিকে ম্যারাথনের ২১.১ কি:মি: পুরুষ ক্যাটাগরিতে সবচেয়ে কম সময় ১ ঘন্টা ২১মিনিট ২২সেকেন্ডে ম্যারাথন শেষ করে প্রথম হয়েছেন মো. মামুন৷ ধারাবাহিকভাবে ১ ঘন্টা ২৫মিনিট ৩৮সেকেন্ডে শেষ করে দ্বিতীয় হয়েছেন আশরাফুল আলম এবং ১ ঘন্টা ৩১মিনিট ৩৫সেকেন্ডে শেষ করে তৃতীয় হয়েছেন মো. আমির হোসেন৷ ম্যারাথনের ২১.১ কি:মি: নারী ক্যাটাগরিতে সবচেয়ে কম সময় ১ ঘন্টা ৫৫মিনিট ৩৮সেকেন্ডে ম্যারাথন শেষ করে প্রথম হয়েছেন সাদিয়া শাঁওলিন৷ ধারাবাহিকভাবে ২ ঘন্টা ২১মিনিট ৪২সেকেন্ডে শেষ করে দ্বিতীয় হয়েছেন তেরেসা কোচি৷
ম্যারাথন শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়া বিশেষ অতিথিদের সম্মাননা প্রদান (উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, পেসার, অ্যাম্বাসেডর, অ্যাডভাইজার, দৌড়বিদ) করা হয়৷ পরবর্তীতে বিকেল ৪ টায় একটি অ্যাডভেঞ্চার ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়, যেখানে অতিথি বক্তা হিসেবে এভারেস্ট এবং লোথসে পর্বত বিজয়ী বাবর আলী এবং পর্বতারোহী এবং আয়রনম্যান ৭০.৩ ফিনিশার হোমায়েদ ইশাক বক্তব্য রাখেন। এবারের ফেস্টের প্রধান আয়োজক জুয়াসের সহ-সভাপতি নিয়ামুল ইসলাম এবং সহ-আযোজক হিসেবে রয়েছেন মোঃ রাসেল মাহমুদ, সাদাত কাভি ও মোঃ আরমান চৌধুরী।
আয়োজকরা জানান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০০ একরের পুরো ক্যাম্পাসের নানা ভেন্যুতে এই জমকালো আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা উপভোগ করতে পারবেন একাধিক ক্রীড়ামুলক, সাংস্কৃতিক ও বিনোদনমূলক কার্যক্রম৷ ৩০ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী চলমান অ্যাডভেঞ্চার ফেস্টিভালে অংশগ্রহণকারীদের জন্য থাকছে বিভিন্ন ক্যাটাগরির অ্যাডভেঞ্চার ও বিনোদনমূলক কার্যক্রম৷ ফেস্টের নানান আয়োজনের মধ্যে উদ্বোধনের দিন ৩০ জানুয়ারি আয়োজিত হয়েছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, মশাল প্রজ্জ্বলন ও র্যালী, ট্রেজার হান্ট, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা।
আয়োজকরা আরও জানান, শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকাশ ও আনন্দদায়ক সময় কাটানোর সুযোগ করে দিতেই আমাদের এই উদ্যোগ। এই আয়োজনে আমাদের সঙ্গে টাইটেল স্পন্সর হিসেবে আছে সেপ্টেক্স এন্টিসেপ্টিক বার, স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে থাকছে এভারেস্ট ফার্মাসিউটিকালস। এই ফেস্টিভালের স্পন্সর হিসেবে অংশগ্রহন করছে- অ্যাকটিভ, বোম্বে সুইটস, ক্লেমন, বুকড ফর ইউ এবং আউটডোর্স বিডি। এছাড়াও মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে চ্যানেল ২৪। সেপটেক্স এডভেঞ্চার ফেস্ট ২.০ এ আপনাদের সবাইকে স্বাগতম! আসুন, অ্যাডভেঞ্চার ও উদ্দীপনায় ভরপুর তিনটি দিন উপভোগ করি। "