শাবিপ্রবিতে সাংগঠনিক সপ্তাহ শুরু

পড়াশোনার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সহশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে নিজেদের দক্ষতা যাচাই ও নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশের লক্ষ্যে বিভিন্ন সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত হয়। দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে নানা রকম সংগঠন রয়েছে। এই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেনি সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ক্ষেত্রেও। সামাজিক, সাংস্কৃতিক, খেলাধুলা, স্বেচ্ছাসেবী, বিতর্ক, বিজ্ঞান বিষয়সহ প্রায় ষাটের অধিক সংগঠন রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। যেগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বের গুণাবলি, সৃজনশীলতা, মানবিক মূল্যবোধ ও শৃঙ্খলা বিকাশে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।
প্রতিবছর সাংগঠনিক সপ্তাহের মাধ্যমে প্রতিবছর নতুন শিক্ষার্থীদের সংগঠনের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে সংগঠনগুলো। শাবিপ্রবিতে প্রতিবছরের ন্যায় আজ রবিবার থেকে জাঁকজমক আয়োজনে শুরু হয়েছে সাংগঠনিক সপ্তাহ। এ উপলক্ষে সংগঠনগুলোর সদস্যরা গত দুইদিন থেকেই টেন্ট (তাঁবু) বানাতে কাজ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চের সম্মুখে হ্যান্ডবল গ্রাউন্ড জুড়ে সংগঠনগুলো নিজেদের বৈচিত্র্য প্রদর্শন করতে বিভিন্ন রঙ বেরঙের সাঁঝে সাজিয়েছে তাদের টেন্ট (তাঁবু)। এছাড়াও প্রতিটি সংগঠন নতুন শিক্ষার্থীদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে চালাচ্ছে প্রচারণা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মুখলেসুর রহমান বলেন, বিগত বছরগুলোতে ২ভাগে সদস্য সংগ্রহ করা হতো। এতে প্রথম সপ্তাহে যে সংগঠনগুলো সদস্য সংগ্রহ করতো তারা বেশী সদস্য পেত। এতে সংগঠনগুলোর মধ্যে একটা বৈষম্য তৈরি হতো। এজন্যই এবার ক্রিয়াশীল ৩৭টি সংগঠন একসঙ্গে সাংগঠনিক সপ্তাহ পালন করছে। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে সদস্য সংগ্রহের এই কার্যক্রম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ক্রীড়া বিষয়ক সংগঠন স্পোর্টস সাস্টের সভাপতি মাসুদ রানা বলেন, “আমাদের সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সকলকে বিভিন্ন ইভেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে একটি কমন প্লেইসে নিয়ে আসে। এতে সকলের মাঝে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়।”
সেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বপ্নোত্থানের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘‘আমাদের সংগঠনটি স্বেচ্ছাসেবী। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের কিছু মানবিক দায়িত্ব থাকে। সেই দায়িত্বের জায়গা থেকে স্বপ্নোত্থানের সদস্যরা কাজ করে।”
স্টুডেন্ট এইড সাস্ট’র সভাপতি শাকিল মাহমুদ বলেন, “ছাত্রকল্যাণমূলক কাজ, মেধাবী শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন, ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং প্রোগ্রাম আয়োজন ও শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা অর্জনের জন্য ‘স্টুডেন্ট এইড সাস্ট’ কাজ করে। এছাড়া সংগঠনের সদস্যরা বিভিন্ন প্রোগ্রাম বাস্তবায়নের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা ও নেতৃত্বের গুণাবলি অর্জনে সক্ষম হবে।