শিরোনাম

বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত হচ্ছে

 প্রকাশ: ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:১১ অপরাহ্ন   |   ক্যাম্পাস

বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত হচ্ছে

নিশান খান 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) দেশের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সুপরিচিত। স্বাধীনতার সমবয়সী এ বিশ্ববিদ্যালয়টি বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় এক অনন্য অধ্যায় রচনা করেছে। ১৯৭০ সালের ১২ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করা এ প্রতিষ্ঠানটি ৫৪ বছরের সাফল্যগাথা শেষে ৫৫ বছরে পদার্পণ করল। পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশসেরা শিক্ষক ও গবেষকদের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়টি অসংখ্য অর্জনের মাধ্যমে খ্যাতি অর্জন করেছে। তবে এ দীর্ঘ যাত্রাপথে সফলতার পাশাপাশি কিছু অপূর্ণতাও রয়ে গেছে, যা আরও উন্নতির সুযোগ তৈরি করে।

আজ (১২ জানুয়ারি) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ থেকে বর্ণিল শোভাযাত্রা শুরু হয়ে মুক্তমঞ্চে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রশাসনিক অফিস, বিভাগসমূহ এবং বিভিন্ন জায়গায় থেকে আসা শিক্ষার্থীরা। দিনব্যাপী রয়েছে নানা আয়োজন, বেলা ১১.১০ মিনিটে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত এবং শহীদদের জন্য দোয়া, ১১.১৫ মিনিটে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, ১১.৪৫ মিনিটে সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণ, ৩.০০টায় পুতুল নাচ ও কলতান বিদ্যা নিকেতনের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান পরিবেশন, একই সময়ে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রীতি ফুটবল এবং নারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রীতি হ্যান্ডবল ম্যাচ, সন্ধ্যে ৬.০০টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র এবং শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের স্মৃতিচারণ করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান বলেন, প্রাণ প্রকৃতির আবাসস্থল, প্রকৃতির লীলাভূমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। শুরু থেকেই এইরকম পরিবেশ ছিল কিন্তু আমরা দুর্ভাগ্যক্রমে এই পরিবেশ হারিয়ে ফেলেছি। ২৪' এর গণঅভ্যুস্থানের মাধ্যমে সারাদেশের মতো জাহাঙ্গীরনগর বিদ্যালয়ও বৈষম্যমুক্ত, অবিচারমুক্ত একটা বিদ্যাপীঠ হিসেবে আবির্ভাব লাভ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস প্রাক্কালে লক্ষ করেছি স্বঃস্ফুত অংশগ্রহণ তারই বহিঃপ্রকাশ। সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভেচ্ছা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, আজকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস সেই উপলক্ষে আমি বর্তমান ও প্রাত্তন শিক্ষার্থীদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছি। একইসাথে আমরা মনে করি, আগামী একটি বছর সকলে মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতির জন্য, সর্বাঙ্গীন পরিবেশ রক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে একসাথে কাজ করব। 

এছাড়াও দিনব্যাপী এ আয়োজনে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র, কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া চত্বরে পিঠা মেলা এবং চারুকলা বিভাগের আয়োজনে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে বৈষম্যবিরোধী আল্পনা ও গ্রাফিতি প্রদর্শন করা হবে।

ক্যাম্পাস এর আরও খবর: